বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সহিংসতা ও গণগ্রেপ্তারের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। সম্প্রতি ঢাকায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মারমুখী আচরণের বিষয়টি উল্লেখ করে শুক্রবার জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স এ আহ্বান জানান।
জেনেভায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘পুলিশকে লাঠি, ব্যাট, লোহার রড দিয়ে বিক্ষোভকারীদের পেটাতে দেখা গেছে। সংঘর্ষে বিরোধীপক্ষের অনেক সমর্থক এবং কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছে। বিরোধী দলের সিনিয়র নেতাদেরও প্রকাশ্য দিবালোকে মারধর করা হয়েছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য দাবি করে তাদের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে।’
এর আগে গত সোমবার বাংলাদেশে বিরোধী দলের সমাবেশে পুলিশের রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস ও জলকামানের ব্যবহারের বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়।
জাতিসংঘের মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স বলেন, ‘সমাবেশ সামনে রেখে কয়েক শ’ বিরোধীদলীয় নেতা ও সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
মুখপাত্র লরেন্স জোর দিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকারকে মানবাধিকার রক্ষা করতে বাধ্য থাকতে হবে এবং জনগণকে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগ করতে দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় পুলিশকে শুধু জরুরি প্রয়োজন হলেই বলপ্রয়োগের আহ্বান জানাচ্ছে। অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের ঘটনার তদন্ত অবিলম্বে করতে হবে এবং দায়ীদের জবাবদিহি করতে হবে।’
চলতি বছরের ডিসেম্বরে বা জানুয়ারির শুরুতে বাংলাদেশের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি ও সমমনা কয়েকটি দল। বাংলাদশ সরকার অবশ্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিকে অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করেছে।